বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

চোট লেগেছে জোটে, প্রার্থীশূন্য বিএনপি!

তরফ নিউজ ডেস্ক : মনোনয়ন বাছাইয়ের প্রথম দিন বাদ পড়েছেন অনেক রথি-মহারথি। তবে মনোনয়ন বাতিলের ঘটনায় থমকে গেছে বিএনপির সহ ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্ট। জোটের অন্যমত শরীক জামায়াতে ইসলামীর ৪৬ আসনের মধ্যে বাতিল হয়েছে ১৪ টি।

সারাদেশের বিভিন্ন আসনে প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে বিএনপি। বিএনপির প্রার্থীশুন্য আসনগুলো হলো-বগুড়া-৭, ঢাকা-১, শেরপুর-১, মানিকগঞ্জ-২, সুনামগঞ্জ -৩ । এছাড়াও আরও কয়েকটি আসনে প্রার্থীশূন্য হয়েছে বিএনপি।

সুনামগঞ্জ -৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে প্রয়োজনীয় তথ্যের ঘাটতি থাকায় বিএনপির দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। যার ফলে আসনটিতে বিএনপির আর কোনো প্রার্থী থাকল না।

অন্যদিকে আসনটিতে বিএনপি প্রার্থীশূন্য হওয়ার ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা শাহিনূর পাশা চৌধুরীর ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
জানা যায়, আসনটিতে বিএনপি মনোনোয়ন নিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির কোষাধক্ষ্য আব্দুস ছাত্তার প্রার্থী হলেও বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নামই নেই তার। যে কারণে মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়েছে। হলফনামায় নিজেকে জগন্নাথপুর উপজেলার খাগাউরা গ্রামের বাসিন্দা উল্লেখ করেছেন তিনি।

এদিকে, বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এই আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশাপাশি গাবতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদ মিলটনকে বিকল্পপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু রবিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে তাদের দুজনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

ঢাকা-১ আসনেও দুই প্রার্থীর উভয়ের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বিএনপির মান্নান ও আবু আশফাকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

তবে ঢাকা-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবেন বর্তমান সাংসদ অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। যাচাই-বাছাই শেষে ইতিমধ্যে তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

শেরপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিন জন। তাদের সবার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।  ঋণ খেলাপির দায়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এছাড়া জেলা যুবদল সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফজলুল কাদের মনোনয়নপত্রে বিএনপির প্রার্থী বলে উল্লেখ করলেও এর সঙ্গে দলীয় মনোনয়নের চিঠি সংযুক্ত না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

বিএনপির তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর মেয়ে সানসিলা জেবরিনসহ ছয় প্রার্থীর মনোনয়পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর ও হরিরামপুর) আসনে বিএনপির দুই প্রার্থী মঈনুল ইসলাম খানের মনোনয়নপত্রে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে মিল না থাকা এবং সিংগাইর উপজেলা চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান রোমান গৃহীত পদত্যাগপত্র জমা না দেয়ায় তাদের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী আশরাফুল হক সুমন মনোনয়নপত্রের সঙ্গে হলফনামা সংযুক্ত করে না দেওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ এই দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই আসনগুলো ছাড়াও আরও কয়েকটি আসনে বিএনপির প্রার্থীশুন্য হয়েছে। বাতিল হওয়া আসনগুলো ফিরে পেতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আপিল করার সুযোগ এখনও রয়েছে। সেখানে আপিলে মনোনয়ন ফিরে না পেলে সর্বশেষ আদালতেও যেতে পারবেন প্রার্থীরা।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com